নবকুমার: সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এবং পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.লীগ নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বর্তমান সরকারের সাফল্য প্রচারে এবং বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে গত ৫-১০ মে পর্যন্ত বেড়া সাথিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পথসভা করেছে। পথসভায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
১১ মে শুক্রবার বিকালে সাঁথিয়া ফুটবল মাঠে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা মঞ্চের ব্যানারে মহাসমাবেশের ডাক দেন সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। সমাবেশের জন্য প্রশাসনের অনুমোদনও নেয়া ছিল বলে জানান সাইয়িদ সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদের জনপ্রিয়তা ও পথ সভায় জনতার ঢল দেখে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু দিশেহারা হয়ে আ.লীগের মহাসমাবেশে বাধা দেয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার একই স্থানে সমাবেশের ঘোষণা দেয় সাঁথিয়া পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সমর্থকরা।
সাঁথিয়ায় একই স্থানে শুক্রবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।শুক্রবার সকালে ১৪৪ ধারা জারি করে মাইকিং করে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম এ আদেশ জারি করেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে সাথিয়া উপজেলার ৩০০০০ হাজার নেতাকর্মীরা রাস্তা নেমে প্রতিবাদ জানান। বেশ কয়েক জন কাফনের কাপড় পড়ে রাস্তায় নামে।
আ.লীগ নেতা জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী জনবিচ্ছিন্ন টুকু আ.লীগের মহাসমাবেশে বাধা দিয়েছে। প্রশানসকে দিয়ে জোর করে ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছে। টুকু নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছে।
ছাত্রলীগ নেতা জানান, টুকু ও তার ভাই বাতেন ক্ষমতার জোরে অহেতু জনসভার ডাক দিয়ে প্রশাসনকে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছে।
যুবলীগ নেতা জানান, বেড়া সাথিয়ার মাটি আবু সাইয়িদের ঘাটি। টুকু ও বাতেন স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে নিয়ে আ.লীগ ধ্বংসের মহা উৎসবে মেতে উঠেছে।
সাঁথিয়া থানার ওসি হাসান এনাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
এদিকে, ১৪৪ ধারা জারির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তিনি বলেন আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে এসেছি। এই বার্তা প্রচারে যারা বাধা দেয়, তারা মুখোশধারী স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর। প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে অন্যায় করেছে। এরপর আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমরা আইন মেনেই সমাবেশ করব। এতে কোনো উসকানি দেয়া হলে প্রশাসনকে তার দায় দায়িত্ব নিতে হবে।
আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাঁথিয়া উপজেলায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলার প্রতিটি মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।